Nabinchandra Sen Biography in Bengali – নবীনচন্দ্র সেন জীবনী

Nabinchandra Sen Biography: আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি মহান ব্যক্তিদের জীবনী সমগ্র। মহান ব্যক্তি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা। তাঁদের জীবনের ক্ষুদ্রতম অংশগুলি আমাদের জন্য শিক্ষামূলক হতে পারে। বর্তমানে আমরা এই মহান ব্যক্তিদের ভুলতে বসেছি। যাঁরা যুগ যুগ ধরে তাদের কর্ম ও খ্যাতির মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং জ্ঞান, বিজ্ঞান, শিল্প ও সাহিত্যের জগতে এক অনন্য অবদান রেখেছেন এবং তাঁদের শ্রেষ্ঠ গুণাবলী, চরিত্র দ্বারা দেশ ও জাতির গৌরব বৃদ্ধি করেছেন। সেইসব মহান ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম কবি নবীনচন্দ্র সেন (Nabinchandra Sen) -এর সমগ্র জীবনী সম্পর্কে এখানে জানব।

Nabinchandra Sen Biography in Bengali – নবীনচন্দ্র সেন জীবনী

নামনবীন চন্দ্র সেন
জন্ম১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭
জন্মস্থানচট্টগাম
পিতাগোপীমহণ রায়
মাতারাজরাজেশ্বরী দেবী
পেশাকবি
জাতীয়তাভারতীয়
উল্লেখযোগ্য কাজক্লিওপেট্রা
মাতৃভাষাবাংলা ভাষা
শিক্ষাজীবনপ্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা (–১৮৬৫)
স্কটিশ চার্চ কলেজ (কলাবিদ্যায় স্নাতক, –১৮৬৮)
মৃত্যু২৩ জানুয়ারি, ১৯০৯ (23rd January 1909)

Birth Place And Parents Of Nabinchandra Sen: নবীনচন্দ্র সেন এর জন্ম স্থান ও পিতামাতা

কবি নবীনচন্দ্রের জন্ম হয় ১৮৪৭ খ্রিঃ ১০ ই ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে। তাঁর পিতার নাম গোপীমোহন সেন।

নবীনচন্দ্র সেন এর শিক্ষাজীবন: Nabinchandra Sen’s Educational Life

চট্টগ্রাম স্কুল থেকে ১৮৬৩ খ্রিঃ প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবার পর কলকাতায় আসেন।

ভর্তি হন প্রেসিডেন্সী কলেজে। ১৮৬৫ খ্রিঃ এফ.এ এবং ১৮৬৮ খ্রিঃ জেনারেল শাসেমব্রীজ ইনস্টিটিউশন থেকে বি.এ পাশ করেন।

ছাত্রাবস্থায় নবীনচন্দ্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সাহচর্যে আসেন এবং তাঁর অকুন্ঠ সাহায্য লাভ করেন। ছাত্রাবস্থাতেই সাহিত্যজীবনের শুরু।

প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয় এডুকেশন গেজেট পত্রিকায়। এই পত্রিকায় তিনি নিয়মিত লিখতেন। কলেজের পড়া শেষ করে নবীনচন্দ্র শিক্ষকতার বৃত্তি গ্রহণ করেন।

নবীনচন্দ্র সেন এর কর্ম জীবন: Nabinchandra Sen’s Work Life

কর্মজীবন শুরু হয় হেয়ার স্কুলে। কিন্তু বেশিদিন এই কাজে থাকতে হয় নি। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে ১৮৬৮ খ্রিঃ ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটের পদ লাভ করেন। এই পদে কর্মরত অবস্থায় তাঁকে বাংলার বিভিন্ন স্থানে থাকতে হয়েছে।

কর্মজীবনের শেষ দিকে তিনি ১৮৯৩-৯৪ খ্রিঃ রানাঘাটের মহকুমা শাসক হয়ে আসেন। সেই সময়ে তিনি নিজের উদ্যোগে তাঁর অগ্রজ আর এক মহাকবি কৃত্তিবাসের ভিটের সন্ধান করে বঙ্গবাসীকে চিরকৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ করেন। মহাকবির জন্মভিটা ফুলিয়া নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ছিল না। নবীনচন্দ্র সেই ভিটে খুঁজে বার করেন। অবশ্য তাঁকে এই কাজে সাহায্য করেছিল রানাঘাট, শান্তিপুর ও ফুলিয়ার বিদ্বৎসমাজ।

পরবর্তী সময়ে এই স্থানেই মহাকবির স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়। স্বদেশপ্রেম ও আত্মচিন্তামূলক কবিতার সংকলন অবকাশরঞ্জিনী নবীনচন্দ্রের প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ, প্রকাশিত হয় ১৮৭১ খ্রিঃ। নবীনচন্দ্রের বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ পলাশীর যুদ্ধ প্রকাশিত হয় ১৮৭৫ খ্রিঃ। এই গ্রন্থ বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।

পলাশীর প্রান্তরে বাঙ্গালী তথা ভারতবাসীর পরাজয়ের মাধ্যমে ইংরাজ ভারতভূমিতে রাজ্যশাসনেব অধিকার হস্তগত করেছিল এই কাহিনী কবি এমনভাবে ব্যক্ত করেছিলেন যে তা দেশবাসীকে স্বাদেশীকতায় উদ্বুদ্ধ করে তুলেছিল।

নবীনচন্দ্র সেন এর রচনা: Written by Nabinchandra Sen

নবীনচন্দ্র দেশ প্রেমিক কবি হিসাবে খ্যাতি লাভ করলেন। এর ফল হল, নবীনচন্দ্রকে তাঁর ঊর্ধ্বতন রাজকর্মচারির বিরাগভাজন হতে হল। ইতিমধ্যে রৈবতক, কুরুক্ষেত্র ও প্রবাস প্রকাশিত হলে নবীনচন্দ্রের কবিখ্যাতি আরও বৃদ্ধি পায়।

এই তিন কাব্যগ্রন্থে তিনি মহাভারতের ঘটনার মৌলিক ব্যাখ্যা করেন। ১৯০৯ খ্রিঃ কবি কর্মস্থল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। সর্বমোট চোদ্দটি গ্রন্থ নবীনচন্দ্র রচনা করেন।

তার মধ্যে ক্লিওপেট্টা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র ও অমিতাভ উল্লেখযোগ্য। আমার জীবন তাঁর আত্মজীবনী।

এই গ্রন্থে তৎকালীন সময়ের অনেক অজ্ঞাত কথা জানা যায়।

নবীনচন্দ্র সেন এর মৃত্যু: Nabinchandra Sen’s Death

১৯২৮ খ্রিঃ নবীনচন্দ্র পরলোক গমন করেন।

আরও পড়ুন-

Leave a Comment